২ বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি থেকে মুক্ত হওয়ার পর হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কারাগারে থাকা অবস্থায় নানা রোগে ভুগছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী, যা এখনও অব্যাহত আছে। তবেও বিএনপি প্রধান রমজান মাসে রোজা রাখছেন। তিন-তিনবারের এই প্রধানমন্ত্রীর ‘লাইফস্টাইল’ অনেকটাই বদলে গেছেন। দেশের প্রথম এই নারী প্রধানমন্ত্রী এখন ইবাদত-বন্দিগি করে বেশি সময় পার করেন। নির্দিষ্ট আত্মীয়-স্বজন ছাড়া দেখা করছেন না কারোর সঙ্গে। দলের নেতাদের সঙ্গেও না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে নির্দিষ্ট সময়সূচিতে দিন কাটাছেন বিএনপির চেয়ারপারসন।ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের পরামর্শে খালেদা জিয়া এখন প্রতিদিন রাত ১১টায় ঘুমিয়ে পড়েন। ফজর নামাজের আগেই ঘুম থেকে উঠেন। তার পর নামাজ আদায় করেন। নামাজের পর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও তাসবীহ পাঠ করেন।
করোনা ভাইরাসের দেশবাসীকে নিয়ে চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন জনপ্রিয় এই নেত্রী। দেশবাসীকে রক্ষা করতে তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন বলে জানান খালেদা জিয়ার এক নিকট আত্মীয়। দেশের মানুষের পাশে থাকতে দলের নেতাদের প্রতি সম্প্রতি নির্দেশও দিয়েছেন।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সিডিউল এখন নেই। সব কিছুর রুটিন পাল্টে গেছে। বয়স, সময়, রাজনৈতিক পরিস্থিতি সব কিছু বিবেচনা করে তিনি নিজেই জীবনের পরিবর্তন এনেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশে হানা দেয় করোনা ভাইরাস। পরে তা ক্রমেই অবনতির দিকে যায়। এমন অবস্থায় গত ২৪ মার্চ আকষ্মিকভাবে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার ঘোষণা দেয়। পরেরদিনই বিএসএমএমইউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়। সেখানে থেকে সরাসরি ওঠেন রাজধানীর গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় উঠেন।
বাসার দোতলায় চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি কোয়ারেন্টিনে থাকেন। লন্ডন থেকে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান তার চিকিৎসার সবকিছু তত্ত্বাবধায়ন করছেন।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে রিউমাটয়েড আর্থ্রারাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাসায় খালেদা জিয়ার সময় কাটছে নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, তজবীহ পাঠ, বই পড়ে। এছাড়াও দুই পুত্রবধূ, নাতনীদের সাথে টেলিফোনে মাঝে মধ্যে কথা বলেন তিনি।